আপনি জানলে অবাক হবেন, বিশ্বের প্রায় ১২০ কোটি মানুষ বিভিন্ন কাজে মাইক্রোসফট অফিস ব্যবহার করে। এই যুগে এসে মাইক্রোসফট অফিস সফটওয়্যারের নাম শোনেননি, এরকম মানুষ বোধয় খুঁজে পাওয়া কষ্টকর হয়ে যাবে। কেননা, পৃথিবীর প্রতি ৭ জনের ১ জন মাইক্রোসফট অফিস ব্যবহার করে। ডকুমেন্ট ম্যানেজমেন্টের জন্য মাইক্রোসফট ওয়ার্ড, প্রেজেন্টেশন তৈরির জন্য মাইক্রোসফট পাওয়ার পয়েন্ট, স্প্রেডশিটে কাজের জন্য মাইক্রোসফট এক্সেলসহ আরও নানান সফটওয়্যার নিয়ে এটি একটি পূর্ণাঙ্গ সফটওয়্যার প্যাকেজ।
মাইক্রোসফট অফিস হলো যুগের পর যুগ ধরে সেরা ডকুমেন্ট ম্যানেজমেন্ট সফটওয়্যার। এর মাঝে নানান ডকুমেন্ট বিষয়ক সফটওয়্যার এসেছে কিন্তু মাইক্রোসফট অফিসের মতো এত জনপ্রিয়তা অর্জন করতে পারেনি। তাছাড়াও, মাইক্রোসফট অফিস সফটওয়্যারগুলোর ফিচারের সংখ্যা অন্য যেকোনো ডকুমেন্ট বিষয়ক সফটওয়্যার থেকে বেশি। তাই, এটির কাজ শিখতে পারলে, যেকোনো সফটওয়্যারে কাজ করাই সহজ হয়ে যাবে।
এজন্যই, আজকের এই ব্লগে আমি আলোচনা করব, মাইক্রোসফট অফিসের খুঁটিনাটি সকল বিষয়াবলী। তো চলুন, শুরু করা যাক!
মাইক্রোসফট অফিস কী?
মাইক্রোসফট অফিস হলো ডকুমেন্ট, প্রেজেন্টেশন, স্প্রেডশিটসহ বেশ কিছু ডকুমেন্ট তৈরি ও সম্পাদনা বিষয়ক সফটওয়্যারের একটি প্যাকেজ। মাইক্রোসফট অফিস প্যাকেজটি এখন মাইক্রোসফট কর্তৃক অনলাইনভিত্তিক সফটওয়্যার মাইক্রোসফট ৩৬৫ নামে রূপান্তর করে নিচ্ছে ধীরে ধীরে। তবে, এখনও মাইক্রোসফট থেকে এই অফলাইন সফটওয়্যার প্যাকেজকে সাপোর্ট দিচ্ছে। মাইক্রোসফট অফিস সফটওয়্যারটি মাইক্রোসফট কর্পোরেশেন দ্বারা ১৯৯০ সালে প্রথম চালু করা হয়। তবে, বিল গেটস ১৯৮৮ সালে লাস ভেগাসে এর কথা ঘোষণা করেন। এটি সচরাচর এমএস অফিস (MS Office) নামেই বেশি পরিচিত।
মাইক্রোসফট অফিস (Image Source: microsoft.com)
মাইক্রোসফট অফিস সফটওয়্যারের তালিকা
মাইক্রোসফট অফিস মূলত একটি সফটওয়্যার নয় বরং অনেকগুলো সফটওয়্যার মিলে তৈরি একটি প্যাকেজ সফটওয়্যার। মাইক্রোসফট অফিসের সফটওয়্যারের নামগুলো হলো:
- মাইক্রোসফট ওয়ার্ড (Microsoft Word)
- মাইক্রোসফট এক্সেল (Microsoft Excel)
- মাইক্রোসফট পাওয়ারপয়েন্ট (Microsoft PowerPoint)
- মাইক্রোসফট আউটলুক (Microsoft Outlook)
- মাইক্রোসফট ওয়াননোট (Microsoft OneNote)
- মাইক্রোসফট পাবলিশার (Microsoft Publisher)
- মাইক্রোসফট অ্যাক্সেস (Microsoft Access)
- মাইক্রোসফট স্কাইপ ফর বিজনেস (Microsoft Skype for Business)
- মাইক্রোসফট টিমস (Microsoft Teams)
- মাইক্রোসফট ভিজিও (Microsoft Visio)
- মাইক্রোসফট প্রজেক্ট (Microsoft Project)
- মাইক্রোসফট ফর্মস (Microsoft Forms)
- মাইক্রোসফট প্ল্যানার (Microsoft Planner)
- মাইক্রোসফট ওয়ানড্রাইভ (Microsoft OneDrive)
- মাইক্রোসফট শেয়ারপয়েন্ট (Microsoft SharePoint)
- মাইক্রোসফট ডেলভ (Microsoft Delve)
- মাইক্রোসফট ইয়ামার (Microsoft Yammer)
- মাইক্রোসফট পাওয়ার বিআই (Microsoft Power BI)
- মাইক্রোসফট পাওয়ার অটোমেট (Microsoft Power Automate)
- মাইক্রোসফট পাওয়ার অ্যাপস (Microsoft Power Apps)
মাইক্রোসফট অফিসের জনপ্রিয়তার একটি বড়ো কারণ হলো, এর সুবিশাল সফটওয়্যার। ফলে, যেকোনো কাজের জন্যই মাইক্রোসফট অফিস খুবই গুরুত্বপূর্ণ।